ক্ষুধার্ত জোয়ার

লেখক: অমিতাভ ঘোষ

ব্র্যান্ড: হার্পারকলিন্স

সংস্করণ: সর্বশেষ

বাঁধাই: পেপারব্যাক

পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৪০০

প্রকাশের তারিখ: ৩০-১১-২০১৬

পার্ট নম্বর: ১০০৩৯

বিস্তারিত: বহুল প্রশংসিত বেস্টসেলার "গ্লাস প্যালেস"-এর লেখকের লেখা। "দ্য হাংরি টাইড" হল কলকাতা এবং বঙ্গোপসাগরের বিশাল দ্বীপপুঞ্জে অবস্থিত একটি সমৃদ্ধ, অদ্ভুত কাহিনী।

একটি ভারতীয় পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, যখন গঙ্গা নদী প্রথম স্বর্গ থেকে নেমে এসেছিল, তখন জলপ্রপাতের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, যদি দেবতা শিব না থাকতেন, যিনি তার ভয়ঙ্কর স্তূপে স্রোতকে আটকে রেখে জলপ্রপাতকে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন, তাহলে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যেত। গঙ্গা যখন বঙ্গোপসাগরের কাছে পৌঁছায়, তখনই এটি নিজেকে মুক্ত করে এবং হাজার হাজার বিচরণশীল ধারায় বিভক্ত হয়। এর ফলে সুন্দরবন তৈরি হয়, ম্যানগ্রোভ বনের একটি বিশাল অংশ, একটি আধা-ডুবানো ভূমি যেখানে হিমালয়ের জল সমুদ্রের আগত জোয়ারের সাথে মিশে যায়।

অমিতাভ ঘোষের নতুন উপন্যাসের পটভূমি হিসেবে এই বিশাল দ্বীপপুঞ্জের সৃষ্টি। সুন্দরবনে জোয়ারের পানি ১০০ মাইলেরও বেশি ভেতরে পৌঁছায় এবং প্রতিদিন হাজার হাজার হেক্টর বন উধাও হয়ে যায় এবং কয়েক ঘন্টা পরে আবার দেখা দেয়। ম্যানগ্রোভ বন ঘন হলেও, মানুষের দৃষ্টিকোণ থেকে এটি মরুভূমির চেয়ে কিছুটা কম অনুর্বর। এখানে এক ভয়াবহ, প্রতিশোধপরায়ণ সৌন্দর্য রয়েছে, কুমির, সাপ, হাঙর এবং মানুষখেকো বাঘে ভরা এই জায়গাটি। পৃথিবীতে এটিই একমাত্র জায়গা যেখানে মানুষ প্রায়শই শিকারীর চেয়ে বেশি শিকার হয়।

এবং এই ভূখণ্ডেই ড্যানিয়েল হ্যামিল্টন নামে একজন অদ্ভুত, ধনী স্কটসম্যান সকল জাতি ও ধর্মের সমন্বয়ে একটি ইউটোপিয়ান সমাজ তৈরি করার এবং সুন্দরবনের শক্তি জয় করার চেষ্টা করেছিলেন। ২০০১ সালের জানুয়ারিতে, একটি ছোট জাহাজ এই বিশাল কিন্তু স্বল্প-পরিচিত পরিবেশের একটি পরিবেশগত জরিপ পরিচালনা করতে আসে এবং জাহাজে থাকা বিজ্ঞানীরা এই সমাজের বংশধরদের যাত্রাপথের সন্ধান শুরু করেন।

ইএএন: ৯৭৮৮১৭২২৩৬১৩৭

প্যাকেজের মাত্রা: ৮.৭ x ৫.৪ x ১.২ ইঞ্চি

ভাষা: ইংরেজি