মৈত্রেয় জাতক

• লেখক: বাণী বসু
• ধরণ: উপন্যাস (উপন্যাস)
• প্রকাশক: আনন্দ পাবলিশার্স
• বিন্যাস: হার্ডকভার
• আইএসবিএন: ৯৭৮৮১৭২১৫৪৮০৬
• পৃষ্ঠা: ৪৩৬
• ওজন: ৭৫২ গ্রাম

সারসংক্ষেপ:
মৈত্রেয় জাতক- এ, প্রখ্যাত লেখক বাণী বসু দক্ষতার সাথে ভারতীয় ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সময়কাল - গৌতম বুদ্ধের যুগকে জীবন্ত করে তুলেছেন। এই বিস্তৃত এবং প্রাণবন্ত উপন্যাসটি দুটি স্বতন্ত্র কিন্তু পরস্পর সংযুক্ত পরিবেশের মধ্য দিয়ে ফুটে উঠেছে:

1. মধ্যদেশ (মধ্যদেশ) — আধুনিক বিহার এবং উত্তর প্রদেশের কিছু অংশ।
2. মানব মনের চিরন্তন জটিলতা।

এই দুটি পটভূমির মধ্য দিয়ে, উপন্যাসটি ইতিহাস এবং সমাজের একাধিক স্তর অন্বেষণ করে, যার মধ্যে রয়েছে:

• রাজনৈতিক সংগ্রাম , যেখানে ক্ষমতা পূর্ব দিকে স্থানান্তরিত হয়— গান্ধার, মাদ্র, কুরু এবং পাঞ্চাল থেকে কোশল, বৈশালী এবং মগধে । এই রূপান্তরের মধ্যে, প্রাচীন সাম্রাজ্যবাদী কৌশলগুলি উদীয়মান শান্তির মতবাদ (মৈত্রী) এর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় , যা অন্য কেউ নয় বরং স্বয়ং বুদ্ধ দ্বারা সমর্থিত।
• এই উপন্যাসটিতে রাজা বিম্বিসার (ভারতের প্রথম লিপিবদ্ধ সম্রাট), কোশলের রাজা প্রসেনজিৎ এবং অন্যান্য শক্তিশালী রাজকীয় ও রাজনৈতিক খেলোয়াড়দের মতো ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বদের চিত্রিত করা হয়েছে।
• অর্থনৈতিক পরিবর্তন , যেখানে সম্পদই ক্ষমতার প্রকৃত উৎস হয়ে ওঠে। বাণিজ্য সম্প্রসারণের সাথে সাথে, বণিক শ্রেণী ঐতিহ্যবাহী শাসক এবং যোদ্ধা অভিজাতদের ছাড়িয়ে যেতে শুরু করে।
• সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তন , যেখানে পণ্ডিত, শিল্পী, ব্যবসায়ী এবং সাধারণ নাগরিক—কৃষক, কারিগর, অভিনয়শিল্পী, কবি এবং দাস—একটি পরিবর্তনশীল বিশ্বে চলাচল করেন। বুদ্ধের দর্শন গণচেতনাকে রূপ দিতে শুরু করে, সমর্থন এবং বিরোধিতা উভয়ই জাগিয়ে তোলে।
• একটি গভীর মনস্তাত্ত্বিক অন্বেষণ , যা ঐতিহাসিক স্রোতের মধ্যে ব্যক্তিগত আনন্দ, দুঃখ, উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং হৃদয়বিদারক অনুভূতিগুলিকে ধারণ করে।

এই বহুমুখী আখ্যান , কিংবদন্তি এবং ইতিহাসের মিশ্রণে, অতীতের সরল পৌরাণিক কাহিনীকে চ্যালেঞ্জ করে, তীব্র আবেগ, দ্বন্দ্ব এবং আদর্শিক লড়াইয়ের এক জগৎ প্রকাশ করে - সবকিছুই একটি সমৃদ্ধ এবং উদ্দীপক সাহিত্য শৈলীতে রচিত।

পুরষ্কার:
মৈত্রেয় জাতককে তার সাহিত্যিক উৎকর্ষতার স্বীকৃতিস্বরূপ আনন্দ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।

লেখক সম্পর্কে:
বাণী বসু ১৩৪৬ সালের ২৬ ফাল্গুনে (বাংলা ক্যালেন্ডার) জন্মগ্রহণ করেন এবং কলকাতায় পড়াশোনা, শিক্ষকতা এবং লেখালেখি করে তাঁর জীবন কাটিয়েছেন।

• শিক্ষা: লেডি ব্র্যাবোর্ন কলেজ → স্কটিশ চার্চ কলেজ (ইংরেজিতে বিএ) → কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এমএ (১৯৬২) ।
• কর্মজীবন: হাওড়া বিজয়কৃষ্ণ গার্লস কলেজের অধ্যাপক ।
• সাহিত্যে অবদান: ছাত্রাবস্থায় লেখালেখি শুরু করেন, প্রবন্ধ, ছোটগল্প, কবিতা এবং অনুবাদ রচনা করেন।
• উল্লেখযোগ্য অনুবাদ:
  • শ্রী অরবিন্দের সনেট (শ্রীণবন্তু)
  • সমারসেট মওগমের সেরা প্রেমের গল্প (১৯৮০, রূপা)
  • সমারসেট মওগমের সেরা গল্প (১৯৮৪, রূপা)
  • ডি এইচ লরেন্সের সেরা গল্প (১৯৮৭, রূপা)

তার প্রথম ছোটগল্প দেশ ম্যাগাজিনে (১৯৮১) প্রকাশিত হয়। শারদীয় আনন্দলোকে (১৯৮৭) ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত তার প্রথম উপন্যাস, জন্মভূমি মাতৃভূমির মাধ্যমে তিনি সাহিত্যিক খ্যাতি অর্জন করেন।