कूर्मपुराणम् কুরমাপুরানম

বইয়ের বিস্তারিত:

• শিরোনাম : कूर्मपुराण
• লেখক : ড.মহেশ চন্দ্র जोशी
• সংস্করণ : ২০২৪
• প্রকাশের বছর : ২০২৪
• পৃষ্ঠা : ৯০৬
• মাত্রা : ২৬ সেমি x ২৫ সেমি x ২ সেমি
• বাঁধাই : হার্ডকভার
• প্যাকিং : হার্ডকভার
• ওজন : ১৩৭৫ গ্রাম

বইটি সম্পর্কে
পুরাণ সাহিত্যে কূর্মপুরাণ একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ এবং এটি ১৮টি মহাপুরাণের মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচিত। বলা হয় যে এটি প্রাথমিকভাবে চারটি বিভাগে রচিত হয়েছিল: ব্রাহ্মী, ভগবতী, সৌর এবং বৈষ্ণবী, প্রতিটিরই একটি অনন্য কেন্দ্রবিন্দু রয়েছে। বর্তমান সংস্করণটি মূলত ব্রাহ্মী অংশের উপর আলোকপাত করে, যেখানে প্রায় ৬,০০০ শ্লোক রয়েছে। এই পুরাণটি বিশ্ব সৃষ্টি, মহাজাগতিক শৃঙ্খলা এবং বিভিন্ন দেবতা এবং দর্শন সম্পর্কিত শিক্ষার ক্ষেত্রে বেদের মতোই অপরিসীম গুরুত্ব বহন করে।

কুর্ম পুরাণকে আধ্যাত্মিক জ্ঞানের উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা মহাজাগতিক আইন, নৈতিক শিক্ষা এবং মুক্তির পথ সম্পর্কে ঐশ্বরিক জ্ঞান প্রদান করে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে কুর্ম পুরাণের শ্লোক শ্রবণ, পাঠ বা চিন্তা করার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি সম্পদ, খ্যাতি এবং পরিণামে মৃত্যুর পর মুক্তি (মোক্ষ) অর্জন করেন।

কুর্ম পুরাণের এই সংস্করণটি ডঃ মহেশ চন্দ্র যোশীর একটি আধুনিক প্রকাশনা, যা মূল পাঠ এবং অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ ভাষ্য উভয়ই প্রদান করে, যা পাঠকদের এর মধ্যে থাকা গভীর আধ্যাত্মিক বার্তাগুলি বুঝতে সক্ষম করে। বইটি পণ্ডিত, ভক্ত এবং প্রাচীন হিন্দু ধর্মগ্রন্থের মূল শিক্ষাগুলি অন্বেষণে আগ্রহীদের জন্য আদর্শ।

বিষয়বস্তুর সারসংক্ষেপ
কুর্ম পুরাণ তার বিষয়বস্তুতে সমৃদ্ধ এবং বিভিন্ন বিষয় কভার করে, যার মধ্যে রয়েছে:

• সৃষ্টি ও সৃষ্টিতত্ত্ব : মহাবিশ্বের উৎপত্তি এবং মহাজাগতিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে বিষ্ণুর মতো দেবতাদের ভূমিকা।
• দার্শনিক শিক্ষা : আচার-অনুষ্ঠান, ভক্তি এবং মহাবিশ্বের নিয়ম বোঝার তাৎপর্য।
• পৌরাণিক কাহিনী : ভগবান বিষ্ণুর কূর্ম (কচ্ছপ) অবতার এবং সৃষ্টি সম্পর্কিত অন্যান্য কিংবদন্তি সম্পর্কিত গল্প।
• মুক্তির পথ (মোক্ষ) : জ্ঞান, ভক্তি এবং ধার্মিক জীবনযাপনের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি যে উপায়ে আধ্যাত্মিক মুক্তি অর্জন করতে পারে।
• দেবতা পূজা : বিষ্ণু, শিব এবং অন্যান্য প্রধান দেবতাদের উপর আলোকপাত করে বিভিন্ন দেবতার বর্ণনা এবং মহাজাগতিক ও মানব জীবনে তাদের ভূমিকা।

কুর্ম পুরাণের গুরুত্ব
কূর্ম পুরাণ আধ্যাত্মিক উপকারিতা এবং দার্শনিক গভীরতার জন্য অত্যন্ত সম্মানিত। বিশ্বাস করা হয় যে এর শ্লোকগুলি পাঠ করা বা শোনা সমৃদ্ধি, স্বাস্থ্য, খ্যাতি এবং আধ্যাত্মিক মুক্তির দিকে পরিচালিত করতে পারে। এই পুরাণ হিন্দুধর্মের মূলনীতিগুলি, বিশেষ করে বিশ্বতত্ত্ব, দেবতা পূজা এবং মুক্তির চূড়ান্ত লক্ষ্য সম্পর্কে বোঝার জন্য একটি অপরিহার্য নির্দেশিকা হিসেবে কাজ করে।

এই গ্রন্থটি কেবল একটি পৌরাণিক গ্রন্থ নয় বরং নীতিগত জীবনযাত্রা, সামাজিক কর্তব্য এবং অস্তিত্বের দার্শনিক ভিত্তি সম্পর্কে গভীর অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। আচার-অনুষ্ঠান এবং প্রার্থনার অন্তর্ভুক্তি এটিকে দৈনন্দিন আধ্যাত্মিক অনুশীলনের জন্য ব্যবহারিক করে তোলে।

প্রকাশনায় তাৎপর্য
কূর্ম পুরাণ বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন প্রকাশনা দেখেছে, মুম্বাইয়ের ভেঙ্কটেশ্বর প্রেস থেকে প্রথম প্রকাশনা শুরু হয়েছিল। এরপর থেকে এটি বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ এবং প্রকাশিত হয়েছে, যার উল্লেখযোগ্য সংস্করণগুলি কল্যাণ, চৌখাম্বা বিদ্যাভবন এবং হিন্দি সাহিত্য সম্মেলনের মতো নামীদামী প্রেসগুলি দ্বারা প্রকাশিত হয়েছে। ডঃ মহেশ চন্দ্র যোশীর এই নতুন সংস্করণটি পাঠ্যের উপর একটি নতুন, ব্যাপক দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য এর কালজয়ী জ্ঞান সংরক্ষণের লক্ষ্য রাখে।

এই বইটি হিন্দু ধর্মগ্রন্থের যেকোনো সংগ্রহের জন্য একটি মূল্যবান সংযোজন এবং যারা প্রাচীন ভারতীয় গ্রন্থগুলির গভীর আধ্যাত্মিক অর্থ বুঝতে চান তাদের জন্য এটি অবশ্যই পড়া উচিত।