জল ও চুমুর উপাখ্যান

• লেখক: তিলোত্তমা মজুমদার
• ধরণ: উপন্যাস
• বিন্যাস: হার্ডকভার
• আইএসবিএন: ৯৭৮৯৩৫০৪০৮৩০৮
• পৃষ্ঠা: ২০০
• ওজন: ৩৩৬ গ্রাম

সারসংক্ষেপ:

প্রেম, বিশ্বাসঘাতকতা এবং জীবনের বেদনাদায়ক সত্যের মধ্য দিয়ে একটি অল্পবয়সী মেয়ের যাত্রা।

একজন অসাধারণ মেধাবী ছাত্রী, অন্নপূর্ণা , কৈশোরে সুকল্যাণের সাথে তার প্রথম প্রেমের অভিজ্ঞতা লাভ করে। পড়াশোনা এবং ভালোবাসা উভয়ের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ, সে তার মাধ্যমিক পরীক্ষায় তার জেলায় শীর্ষস্থান অর্জন করে। তার চা-বাগান সম্প্রদায়ের পরিচিত উষ্ণতাকে পিছনে ফেলে, সে শহরের সেরা স্কুলে চলে যায়, যেখানে সে জীবনকে সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে শুরু করে।

তবে, একটি রক্ষণশীল পুরুষতান্ত্রিক সমাজ প্রায়শই বয়ঃসন্ধিকালের ভুল উপস্থাপনা করে । অন্নপূর্ণা এর শিকার হন। যখন সে একটি প্রাণঘাতী অসুস্থতার সাথে লড়াই করে, তখন লোকেরা তার কষ্টকে নৈতিক দুর্নীতির লক্ষণ হিসাবে উড়িয়ে দেয়। সে তার শিক্ষাগত প্রতিভা হারাতে শুরু করে এবং সুকল্যাণ, কোনও কারণ ছাড়াই, তাকে পরিত্যাগ করে । সাফল্যের শিখর থেকে ব্যর্থতা এবং একাকীত্বের গর্তে পড়ে, অন্নপূর্ণা তার শৈশবের বন্ধু পুল্টন এবং ভুলাইয়ের দিকে ফিরে যায়, হতাশায় ডুবে যাওয়ার সময় তাদের কাছে চিঠি লেখে।

একটি ছেলে এবং একটি মেয়ের মধ্যে কি সত্যিই একটি বিশুদ্ধ, প্লেটোনিক বন্ধুত্ব থাকতে পারে? সমাজ তা বিশ্বাস করতে অস্বীকার করে, কিন্তু অন্নপূর্ণার বন্ধুত্ব একটি শক্তিশালী প্রতিবাদ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।

ধারাবাহিক চিঠির মাধ্যমে বর্ণিত এই পত্র-উপন্যাসটিতে বয়ঃসন্ধিকালের আনন্দ, অসহায়ত্ব এবং জটিলতাগুলি তুলে ধরা হয়েছে যখন এটি পরিণত বয়সে রূপান্তরিত হয়। অন্নপূর্ণার অসুস্থতা অবশেষে যখন স্বীকার করা হয়, তখন অনেক দেরি হয়ে যায় - মৃত্যু ইতিমধ্যেই তার দিকে তার বাম হাত বাড়িয়ে দিয়েছে । কিন্তু আসন্ন মৃত্যুর ছায়ার মধ্যেও, সে দেবায়নের মধ্যে আশার এক নতুন রশ্মি খুঁজে পায়। তার প্রেম তাকে একটি চূড়ান্ত, সুন্দর অভিজ্ঞতা দেয় - তার প্রথম রোমান্টিক চুম্বনের স্বাদ ।

লেখক সম্পর্কে:

তিলোত্তমা মজুমদার ( জন্ম: ১১ জানুয়ারী, ১৯৬৬ ) উত্তরবঙ্গের একজন বিখ্যাত বাঙালি লেখিকা, তাঁর জন্ম কালচিনি চা বাগানে । তিনি উচ্চ শিক্ষার জন্য কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজে যাওয়ার আগে ইউনিয়ন একাডেমি স্কুলে পড়াশোনা শেষ করেন।

১৯৯৩ সাল থেকে লেখালেখির সাথে যুক্ত, তিনি সাহিত্যপ্রেমীদের পরিবার থেকে এসেছেন, তার ভাই তার প্রথম অনুপ্রেরণা। সঙ্গীত এবং ভ্রমণের প্রতি তার গভীর ভালোবাসা রয়েছে।

তার প্রশংসার মধ্যে রয়েছে:

• বসুধারার জন্য আনন্দ পুরস্কার (১৪০৯ বাংলা বছর)
• একতারার জন্য ডেটল-আনন্দবাজার পত্রিকা শারদ অর্ঘ্য পুরস্কার (1413 বাংলা বছর)
• ভাগলপুরের শরৎস্মৃতি পুরস্কার (2007)