হারকোলুবাস বা লাল গ্রহ [ইংরেজি] ভিএম রাবোলুর লেখা

লেখক: ভিএম রাবোলু

প্রকাশক: মতিলাল বেনারসীদাস পাবলিশিং হাউস

সংস্করণ: প্রথম সংস্করণ

বাঁধাই: পেপারব্যাক

বিস্তারিত:

**"হারকোলুবাস অর রেড প্ল্যানেট"** **ভিএম রাবোলু** রচিত একটি বই যা **হারকোলুবাস** গ্রহ, যা **নিবিরু** বা **লাল গ্রহ** নামেও পরিচিত, সম্পর্কিত রহস্যময় এবং আধিভৌতিক ধারণাগুলির গভীরে প্রবেশ করে। বইটি **নস্টিক** ঐতিহ্যের অংশ এবং এই রহস্যময় গ্রহের আগমনের সম্ভাব্য পরিণতি এবং পৃথিবী, মানবতা এবং মহাবিশ্বের উপর এর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করে। রাবোলুর লেখাগুলি **কালের শেষ**, আধ্যাত্মিক জাগরণ এবং মহাজাগতিক ও বৈশ্বিক রূপান্তরের মুখে **মানব বিবর্তনের গুরুত্ব** সম্পর্কিত বিষয়গুলি অন্বেষণ করে।

### "হারকোলুবাস বা লাল গ্রহ" এর মূল থিম:

#### ১. **হারকোলুবাস: লাল গ্রহ**:
- রাবোলুর বইতে, **হারকোলুবাস** কে একটি **রহস্যময় মহাকাশীয় বস্তু** হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে, যাকে প্রায়শই একটি **লাল গ্রহ** বলা হয়, যা পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসছে বলে মনে করা হয়, যা সম্ভাব্যভাবে মহাবিশ্বে বিরাট উত্থান এবং পরিবর্তন ঘটাতে পারে।
- গ্রহটিকে একটি **বৃহৎ, লাল এবং বিপর্যয়কর** বস্তু হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, যা রাবোলুর রহস্যময় বোধগম্যতা অনুসারে, মানবতা এবং পৃথিবীর উপর **বড় প্রভাব** ফেলবে। বইটিতে এই গ্রহের **আগমন** নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে একটি **জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত ঘটনার** অংশ হিসেবে যা মহাবিশ্বে একটি **নতুন চক্র** আনবে।
- বিভিন্ন ষড়যন্ত্র তত্ত্বে হারকোলুবাসকে কখনও কখনও **নিবিরু**, একটি কাল্পনিক গ্রহের সাথে যুক্ত করা হয়, যদিও রাবলুর বইটি কেবল জ্যোতির্বিদ্যা বা প্রলয় তত্ত্বের চেয়ে এই ঘটনার **আধ্যাত্মিক প্রভাব** এর উপর বেশি আলোকপাত করে।

#### ২. **পৃথিবীর শেষ এবং আধ্যাত্মিক জাগরণ**:
- রাবোলু প্রস্তাব করেন যে **হারকোলুবাস** এর আগমন একটি **অ্যাপোক্যালিপ্টিক ঘটনার** ইঙ্গিত দেয় যা মানব সভ্যতার **বর্তমান চক্রের** সমাপ্তি** আনবে। তবে, কেবল **ভৌত ধ্বংস** ভবিষ্যদ্বাণী করার পরিবর্তে, বইটি **আধ্যাত্মিক রূপান্তর**-এর উপর জোর দেয়।
- এই প্রসঙ্গে **বিশ্বের শেষ** বলতে মানুষের অজ্ঞতা এবং বস্তুবাদের **একটি যুগের** সমাপ্তি বোঝায়। বইটি পরামর্শ দেয় যে মানবতা একটি **আধ্যাত্মিক মোড়** এর মুখোমুখি, এবং কেবলমাত্র যারা **আধ্যাত্মিকভাবে প্রস্তুত** তারাই এই রূপান্তর থেকে বেঁচে যাবে।
- **আধ্যাত্মিক জাগরণ**, অথবা **জ্ঞান**, মহাজাগতিক উত্থানের মুখে জ্ঞানার্জন এবং বেঁচে থাকার পথ হিসেবে উপস্থাপিত হয়। রাবোলুর মতে, হারকোলুবাসের সাথে সম্পর্কিত ধ্বংস এড়ানোর মূল চাবিকাঠি হল **অভ্যন্তরীণ আধ্যাত্মিক বিকাশ**, যার মধ্যে রয়েছে **আত্ম-উপলব্ধি**, **ধ্যান** এবং **আত্ম-শুদ্ধি**।

#### ৩. **জ্ঞানবাদী শিক্ষার ভূমিকা**:
- রাবোলু **নস্টিক আন্দোলন**-এর একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ছিলেন, যা গোপন আধ্যাত্মিক শিক্ষা এবং অভ্যন্তরীণ জ্ঞানের মাধ্যমে **ঈশ্বরের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা**-এর উপর জোর দেয়। এই বইতে, তিনি হারকোলুবাসের আগমনের প্রস্তুতির উপায় হিসেবে **নস্টিক আচার-অনুষ্ঠান** এবং শিক্ষার অনুশীলনের পক্ষে কথা বলেছেন।
- বইটি লাল গ্রহের আগমনের ফলে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জগুলি কাটিয়ে ওঠার জন্য **ধ্যান**, **আত্ম-পর্যবেক্ষণ** এবং **আত্মার শুদ্ধিকরণ** এর মতো **আধ্যাত্মিক অনুশীলন** এর গুরুত্বের উপর জোর দেয়।
- বইটিতে উপস্থাপিত **নস্টিক দর্শন** পাঠকদের **বস্তুগত জগৎ** অতিক্রম করতে এবং উচ্চতর স্তরের চেতনা অর্জন করতে উৎসাহিত করে, যা তাদেরকে হারকোলুবাসের প্রতিনিধিত্বকারী বিশ্বব্যাপী রূপান্তরের জন্য প্রস্তুত হতে সাহায্য করে।

#### ৪. **গ্রহ রূপান্তর**:
- **হারকোলুবাস** কে **বৃহৎ গ্রহ পরিবর্তনের** জন্য একটি অনুঘটক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা পৃথিবী এবং এর বাসিন্দাদের জন্য একটি **নতুন যুগের** সূচনা করবে। এই রূপান্তর কেবল মানব সভ্যতার উপরই প্রভাব ফেলবে না বরং **পার্থিব এবং মহাজাগতিক স্তরের** উপরও এর গভীর প্রভাব পড়বে।
- রাবোলুর মতে, **হারকোলুবাস** এর আগমন **বিচারের** একটি সময়কাল** চিহ্নিত করবে, যেখানে মানবজাতির আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি পরীক্ষা করা হবে। যারা আধ্যাত্মিকভাবে অপ্রস্তুত তারা দুঃখকষ্ট বা ধ্বংসের সম্মুখীন হতে পারে, আর যারা **জ্ঞান** সম্পর্কে জাগ্রত হয়েছে তারা আধ্যাত্মিকভাবে সুরক্ষিত থাকবে।
- বইটিতে গ্রহের গতিবিধি এবং মানবিক বিষয়ের উপর তাদের প্রভাব সম্পর্কিত **জ্যোতিষশাস্ত্র** এবং **মহাজাগতিক** তত্ত্বগুলিও স্পর্শ করা হয়েছে, তবে এই ধারণাগুলি একটি **আধ্যাত্মিক প্রেক্ষাপটে** রচিত হয়েছে, যা মানব বিবর্তন এবং মহাজাগতিক চক্রের মধ্যে সংযোগের উপর জোর দেয়।

#### ৫. **মহাজাগতিক নাটকে মানবতার ভূমিকা**:
- **"হারকোলুবাস বা লাল গ্রহ"** এর কেন্দ্রীয় বিষয়বস্তুর মধ্যে একটি হল এই ধারণা যে **মানবতা** মহাজাগতিক নাটকের উন্মোচনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বইটি পরামর্শ দেয় যে হারকোলুবাসের আগমন কেবল একটি এলোমেলো ঘটনা নয় বরং একটি **বৃহত্তর ঐশ্বরিক পরিকল্পনার** অংশ যা মহাজাগতিক আইন অনুসারে উদ্ভূত হচ্ছে।
- রাবোলু বিশ্বাস করেন যে মানবজাতির কর্মকাণ্ড, ব্যক্তিগত এবং সম্মিলিতভাবে, এই **মহাজাগতিক চক্রের** গতিপথের উপর গভীর প্রভাব ফেলে। যদি মানবতা **অজ্ঞতা**, বস্তুবাদ এবং **আধ্যাত্মিক অন্ধকার**তে বাস করতে থাকে, তাহলে হারকোলুবাসের প্রভাব বিপর্যয়কর হতে পারে। তবে, যারা **আধ্যাত্মিক আইন** মেনে চলে এবং সত্যের সন্ধান করে তারা **আধ্যাত্মিক পুনর্জন্মের** অংশ হবে।

#### ৬. **আসন্ন পরিবর্তনের প্রস্তুতি**:
- বইটি হারকোলুবাসের আগমনের প্রত্যাশায় **আধ্যাত্মিক প্রস্তুতির** প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়। রাবোলুর মতে, এই প্রস্তুতির মধ্যে রয়েছে:
- **অভ্যন্তরীণ রূপান্তর**: **ভালোবাসা**, **করুণা**, এবং **প্রজ্ঞা** এর মতো গুণাবলী বিকাশ করা।
- **ধ্যান এবং জ্ঞান**: **চেতনার উচ্চতর অবস্থা** এবং ঐশ্বরিক জ্ঞানের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য কৌশল অনুশীলন করা।
- **শরীর ও আত্মার শুদ্ধিকরণ**: **বস্তুগত আকাঙ্ক্ষা** থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ব্যক্তির **শারীরিক** এবং **আধ্যাত্মিক** উভয় দিককেই শুদ্ধ করে এমন অনুশীলনে লিপ্ত হওয়া।
- ব্যক্তিগত আধ্যাত্মিক অনুশীলনের পাশাপাশি, বইটি পরামর্শ দেয় যে আসন্ন রূপান্তর থেকে বেঁচে থাকার জন্য সমগ্র মানবজাতিকে একটি সম্মিলিত **আধ্যাত্মিক জাগরণ** এর মধ্য দিয়ে যেতে হবে।

#### ৭. **প্রতীকী এবং রূপক**:
- **নস্টিক** ঐতিহ্যের অনেক কাজের মতো, **"হারকোলুবাস বা লাল গ্রহ"** **প্রতীকী** এবং **রূপক** সমৃদ্ধ, যেখানে **বাইবেলের বিষয়বস্তু**, প্রাচীন ভবিষ্যদ্বাণী এবং **রহস্যময় শিক্ষা** এর উল্লেখ রয়েছে। বইটি **আধিভৌতিক** ভাষায় কথা বলে এবং পাঠকদের **বস্তুগত বাস্তবতা** অতিক্রম করতে এবং অস্তিত্বের গভীর **আধ্যাত্মিক সত্য** এর সাথে জড়িত হতে অনুপ্রাণিত করার জন্য তৈরি।

### এই বইটি কার পড়া উচিত?

- **আধ্যাত্মিক অন্বেষণকারী এবং জ্ঞানবাদী**: যারা **গুপ্ত আধ্যাত্মিকতা**, **জ্ঞান** এবং **রহস্যময় ঐতিহ্য** সম্পর্কে আগ্রহী তারা এই বইটিকে মহাজাগতিক ঘটনাবলীর জন্য **আধ্যাত্মিক প্রস্তুতির** গভীর অনুসন্ধান হিসেবে পাবেন।

- **শেষ কালের তাত্ত্বিক এবং রহস্যময় পাঠক**: **অ্যাপোক্যালিপ্টিক সাহিত্য**, **বিশ্বের শেষ** সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী** এবং **নিবিরু** বা **হারকোলুবাস** এর মতো মহাজাগতিক বস্তুর প্রভাব সম্পর্কে আগ্রহী ব্যক্তিরা রাবলুর দৃষ্টিভঙ্গিকে আকর্ষণীয় এবং চিন্তা-উদ্দীপক বলে মনে করবেন।

- **যারা জ্যোতিষশাস্ত্র এবং সৃষ্টিতত্ত্বে আগ্রহী**: বইটি **জ্যোতিষশাস্ত্র** এবং **মহাজাগতিক** বিষয়গুলিকে স্পর্শ করে, যা গ্রহ-দেহের **জ্যোতিষশাস্ত্রীয়** প্রভাব এবং তাদের আধ্যাত্মিক তাৎপর্য বুঝতে আগ্রহী পাঠকদের জন্য এটিকে আকর্ষণীয় করে তোলে।

- **সাধারণ পাঠক**: **আধ্যাত্মিকতা**, **জ্যোতির্বিদ্যা** এবং **রহস্যবাদ** এর মিলনে আগ্রহী যে কেউ রাবলুর কাজকে **দর্শন** এবং **ভবিষ্যদ্বাণী** এর এক অনন্য এবং আকর্ষণীয় মিশ্রণ বলে মনে করতে পারেন।

### উপসংহার:
**"হারকোলুবাস অর রেড প্ল্যানেট"** **ভিএম রাবোলু** রচিত একটি **আধ্যাত্মিক ও রহস্যময় বই** যা **মহাজাগতিক রূপান্তর**, **অ্যাপোক্যালিপ্টিক ভবিষ্যদ্বাণী** এবং **আধ্যাত্মিক জাগরণ** এর বিষয়বস্তুগুলিকে মিশ্রিত করে। এটি **লাল গ্রহ** (হারকোলুবাস) এর আগমন এবং পৃথিবীতে এর সম্ভাব্য প্রভাবের উপর আলোকপাত করে, পাঠকদেরকে **অভ্যন্তরীণ রূপান্তর** এবং **আধ্যাত্মিক বিকাশ** এর মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানায় যাতে তারা ভবিষ্যতের **মহাজাগতিক পরিবর্তন** এর জন্য প্রস্তুত থাকে। **জ্ঞানী শিক্ষা** এবং **আধ্যাত্মিক অনুশীলন** এর মাধ্যমে, রাবোলু জোর দিয়ে বলেন যে মানবতার বেঁচে থাকা এবং আধ্যাত্মিক বিবর্তন তার **উচ্চতর চেতনা** এবং **ঐশ্বরিক জ্ঞান** গ্রহণ করার প্রস্তুতির উপর নির্ভর করে।

পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৪৫

প্রকাশের তারিখ: ১৬-০৮-২০২৪

ইএএন: ৯৭৮৯৩৫৯৭১৯৬১০

ভাষা: ইংরেজি