গ্রামীণ ব্যাংক ও আমার জীবন

লেখক: মুহাম্মদ ইউনূস
ধরণ: আত্মজীবনী - স্মৃতিকথা
বিন্যাস: হার্ডকভার
আইএসবিএন: ৯৭৮৮১৭৭৫৬৩৮৩২
পৃষ্ঠা: ৩০৮
ওজন: ৬৫৬ গ্রাম

বইয়ের বর্ণনা:

আধুনিক বিশ্বে, গ্রামীণ ব্যাংক একটি বিপ্লবী আন্দোলনের প্রতিনিধিত্ব করে এবং এর দূরদর্শী প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ ইউনূস এর পেছনের চালিকাশক্তি। ১৯৮০-এর দশকে, ইউনূস দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং বিশ্বের দরিদ্রতম মানুষের সহজাত সৃজনশীল সম্ভাবনা উন্মোচন করে তাদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গঠনের তার স্বপ্ন আজ বাস্তবে পরিণত হয়েছে।

ইউনূস নিজে বিশ্বাস করেন, “গ্রামীণ ব্যাংক দরিদ্রদের দ্বারা, দরিদ্রদের জন্য নির্মিত একটি প্রতিষ্ঠান। এটি একটি স্বপ্ন বাস্তবায়িত হওয়ার মতো।” ইউনূসের বর্ণনা অনুযায়ী, ব্যাংকটি দরিদ্রতমদের জন্য একটি রূপান্তরকারী হাতিয়ার হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে: “আমরা যা স্বপ্ন দেখি, তা আমরা অর্জন করতে পারি। স্বপ্ন দেখাই অর্জনের প্রথম ধাপ। গ্রামীণ ব্যাংকের কাজের মাধ্যমে আমি প্রতিদিন এটি প্রত্যক্ষ করেছি। দরিদ্র নারীদের নিজেদের ক্ষমতায়নের জন্য ছোট ঋণ ব্যবহার করতে দেখে এই উদ্দেশ্যের প্রতি আমার বিশ্বাস আরও দৃঢ় হয়েছে।”

এই আত্মজীবনীমূলক বিবরণে, মুহাম্মদ ইউনূস পাঠককে তাঁর জীবনের যাত্রার মধ্য দিয়ে নিয়ে যান - তাঁর শৈশব থেকে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা, এর পরবর্তী সাফল্য এবং নতুন দিগন্তের উন্মোচন পর্যন্ত। এই স্মৃতিকথার মাধ্যমে, ইউনূস তাঁর জীবনের স্তর, চিন্তাভাবনা এবং ধারণাগুলি উন্মোচন করেছেন, অনেকটা একটি সুন্দর ফুলের উন্মোচনের মতো। তাঁর গল্পটি অধ্যবসায়, দূরদর্শিতা এবং স্বপ্নের সাধনার গল্প।

পরিশেষে, গ্রামীণ ব্যাংক ও আমার জীবন হল একজন দূরদর্শী ব্যক্তির গল্প যার দৃঢ় সংকল্প একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্বপ্নকে বিশ্বব্যাপী বাস্তবে রূপান্তরিত করেছে, লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনকে আরও ভালোর জন্য বদলে দিয়েছে।

লেখক সম্পর্কে:

মুহাম্মদ ইউনূস ১৯৪০ সালে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৭ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে অধ্যাপনা করার সময় গ্রামীণ ব্যাংক প্রকল্প শুরু করেন। এই উদ্যোগের সাফল্য গ্রামীণ ব্যাংক এবং এর প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ ইউনূসকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত করেছে, বিশেষ করে ক্ষুদ্রঋণের ক্ষেত্রে। ইউনূসকে বাংলাদেশের অন্যতম বিশিষ্ট বৈশ্বিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

ইউনূস অসংখ্য প্রশংসা পেয়েছেন, যার মধ্যে পনেরোটি আন্তর্জাতিক পুরষ্কার এবং বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তেরোটি সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি রয়েছে। তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জাতীয় সম্মাননাও পেয়েছেন। তিনি জাতিসংঘ ফাউন্ডেশন সহ কমপক্ষে দশটি আন্তর্জাতিক সংস্থার বোর্ড বা উপদেষ্টা পরিষদে দায়িত্ব পালন করেন এবং UNAIDS-এর আন্তর্জাতিক শুভেচ্ছাদূত হিসেবে সম্মানিত হন।

২০০৬ সালে, মুহাম্মদ ইউনূস এবং গ্রামীণ ব্যাংককে নিচ থেকে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য তাদের অসামান্য প্রচেষ্টার জন্য যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরষ্কার প্রদান করা হয়।