অন্তপুরের আত্মকথা
অন্তপুরের আত্মকথা is backordered and will ship as soon as it is back in stock.
Couldn't load pickup availability
Genuine Products Guarantee
Genuine Products Guarantee
We guarantee 100% genuine products, and if proven otherwise, we will compensate you with 10 times the product's cost.
Delivery and Shipping
Delivery and Shipping
Products are generally ready for dispatch within 1 day and typically reach you in 3 to 5 days.
- লেখক : চিত্রা দেব
- ধরণ : নারী ও নারিবাদ
- কভার: হার্ডকভার
- আইএসবিএন : ৯৭৮৮১৭০৬৬৫৪৭২
- পৃষ্ঠা : ১৭২
- ওজন : ৩০৬ গ্রাম
মূল হাইলাইটস:
- অন্তপুরের আত্মকথা চিত্রা দেবের একটি উল্লেখযোগ্য রচনা যা ঊনবিংশ শতাব্দীর , বিশেষ করে ১৮০৯ থেকে ১৯০০ সালের মধ্যে বাঙালি নারীদের জীবনযাত্রার গভীরে প্রবেশ করে।
- এই বইটি প্রায় ৬০ জন বাঙালি নারীর আত্মজীবনী , স্মৃতিকথা এবং ডায়েরির সংকলন, যার মধ্যে রয়েছে প্রথম বাঙালি নারী যিনি আত্মজীবনী লেখেন, রাসসুন্দরী দেবী থেকে শুরু করে একজন নির্যাতিত স্ত্রী অমিয় বালা দেবী পর্যন্ত।
- এই নারীদের লেখাগুলি, যদিও সময়ের সাথে সাথে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, বাঙালি নারীর জীবন, সংগ্রাম এবং মানসিক বিবর্তনের একটি বিশদ এবং অন্তরঙ্গ চিত্র তুলে ধরে।
- লেখক সমাজের রূপান্তরের সময়কালে বাঙালি নারীদের মানসিক ও মানসিক যাত্রা পুনর্গঠনের জন্য এই খণ্ডিত বিবরণগুলিকে একত্রিত করেছেন, যা বাঙালি নারীর জাগরণের একটি খাঁটি, সূক্ষ্ম এবং ব্যাপক আখ্যান প্রদান করে।
- বইটিতে সমাজে নারীর ভূমিকার বিবর্তন , তাদের প্রাথমিক সংগ্রাম থেকে শুরু করে আরও দৃঢ়, বৌদ্ধিক আন্দোলনের অংশ হয়ে ওঠার বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে। নারীদের ব্যক্তিগত গল্পগুলি কেবল ঐতিহাসিক রেকর্ডই নয়, সেই সময়ের বৃহত্তর সামাজিক পরিবর্তনের প্রতিফলনও।
- "অন্তপুরের আত্মকথা" বাংলায় নারীর ক্ষমতায়নের ইতিহাস এবং পুরুষতান্ত্রিক সমাজে বাঙালি নারীরা কীভাবে তাদের কণ্ঠস্বর খুঁজে পেয়েছিলেন তার একটি খাঁটি বিবরণ ।
লেখকের তথ্য:
- চিত্রা দেব ছিলেন একজন বিশিষ্ট পণ্ডিত যিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন এবং মধ্যযুগীয় একটি অনাবিষ্কৃত মহাভারতের উপর গবেষণার মাধ্যমে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন।
- তিনি মধ্যযুগীয় বাংলা গ্রন্থের উপর তার বিস্তৃত কাজের জন্য পরিচিত, এবং তিনি কবি চন্দ্রের মহাভারত , বিষ্ণুপুরী রামায়ণ এবং কেতকাদাস ক্ষেমানন্দের মনসামঙ্গলের মতো গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ সম্পাদনা করেছিলেন।
- চিত্রা দেব বাংলা সংস্কৃতিতে নারীর ভূমিকা সম্পর্কেও সম্পাদনা ও লেখালেখি করেছেন, তার অন্যতম উল্লেখযোগ্য রচনা হল "ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহল" , যেখানে ঠাকুর পরিবারের নারীদের জীবন এবং বাঙালি সংস্কৃতিতে তাদের অবদান অন্বেষণ করা হয়েছে।
- বাঙালি নারী সাহিত্যের উপর তাঁর গবেষণা এবং বাঙালি নারীর সংগ্রাম ও বিবর্তন সম্পর্কে তাঁর অন্তর্দৃষ্টি একাডেমিক মহলে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত হয়েছিল।
- তিনি আনন্দবাজার পত্রিকার গ্রন্থাগার বিভাগেরও একজন অংশ ছিলেন, এবং পত্রিকাটিতে তাঁর পাণ্ডিত্যপূর্ণ কাজ অবদান রেখেছিলেন।
- চিত্রা দেব ২০১৭ সালের ১ অক্টোবর মারা যান ।
উদ্দেশ্য এবং বিষয়বস্তু:
- "অন্তপুরের আত্মকথা" কেবল নারীদের ব্যক্তিগত আখ্যানের সংকলনই নয়, বরং এই নারীরা তাদের লেখার মাধ্যমে বাঙালি নারী চেতনার বিকাশে কীভাবে অবদান রেখেছিলেন তার প্রতিফলনও এটি করে।
- এই বইটি বাংলার নারী জাগরণের একটি ইতিহাস হিসেবে কাজ করে, যেখানে দেখানো হয়েছে যে কীভাবে এই নারীরা সামাজিক সীমাবদ্ধতাগুলি অতিক্রম করেছেন , তাদের কণ্ঠস্বরে শক্তি খুঁজে পেয়েছেন এবং বাঙালি সমাজের সাংস্কৃতিক বিবর্তনে অবদান রেখেছেন।
- এটি এই নারীদের মানসিকতার গভীরে ডুব দেওয়ার প্রস্তাব দেয়, তাদের চিন্তাভাবনা, সংগ্রাম এবং আবেগগত দৃশ্যপট তুলে ধরে, যা এই আত্মজীবনী এবং স্মৃতিকথা সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ করার আগে পর্যন্ত লুকিয়ে ছিল।
সারাংশ:
"অন্তপুরের আত্মকথা" বইটিতে চিত্রা দেব ঊনবিংশ শতাব্দীর বাঙালি নারীদের আবেগঘন যাত্রা, সংগ্রাম এবং বৌদ্ধিক রূপান্তরের কণ্ঠস্বর সামনে তুলে ধরেছেন। রসসুন্দরী দেবী এবং অমিয় বালা দেবীর মতো নারীদের লেখা একত্রিত করে, বইটি গভীর ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে বাঙালি নারীদের জীবনের একটি বিশদ চিত্র তুলে ধরেছে। এই বইটি বাংলার নারী আন্দোলনের একটি আকর্ষণীয় ঐতিহাসিক বিবরণ , যা নিপীড়িত ব্যক্তি থেকে বৌদ্ধিক এবং আবেগগত শক্তিতে তাদের বিবর্তনকে চিহ্নিত করে যা বাঙালি নবজাগরণের গতিপথকে রূপ দিয়েছে।

