পারাপার

• লেখকঃ শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
• ধরণ: উপন্যাস (উপন্যাস)
• বিন্যাস: হার্ডকভার
• আইএসবিএন: ৯৭৮৮১৭৭৫৬৮৪১৭
• পৃষ্ঠা: ৪৫৬
• ওজন: ৫৭০ গ্রাম
• প্রকাশক: আনন্দ পাবলিশার্স

সারসংক্ষেপ:

মাত্র ৩১ বছর বয়সে , ললিত ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। সাময়িক সুস্থতার পর, তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়, যেখানে তাকে তার জমিদারের ছেলে শম্ভু এবং তার সবচেয়ে কাছের বন্ধু তুলসী স্বাগত জানান।

এই সরল শুরু থেকে, পারাপার একটি বিশাল এবং জটিল জগতে প্রসারিত হয় যেখানে ঘটনার সংঘর্ষ প্রতিটি অভিজ্ঞতাকে রূপান্তরিত করে । বস্তুগত এবং আধ্যাত্মিক অস্পষ্টতার মধ্যে সীমানা , জীবন এবং মৃত্যুর গভীর দার্শনিক অন্বেষণ প্রকাশ করে।

গল্পটি ললিত, তার বৃদ্ধা মা, তুলসী, মৃদুলা, সঞ্জয়, রিনি, আদিত্য, শাশ্বতী, অপর্ণা, বিমান এবং রমেনকে অনুসরণ করে - এমন একজন ব্যক্তি যার চোখ আত্মহত্যার কথা ভাবলেও ঐশ্বরিক সান্ত্বনা দেয়। এই বিপরীত চরিত্রগুলি একে অপরের সাথে মিশে জীবনকে এক অসাধারণ সামগ্রিকতার দিকে পরিচালিত করে।

দুঃখ ও আনন্দ, প্রত্যাখ্যান ও প্রেম, মৃত্যু ও পুনর্জন্মের মধ্য দিয়ে, এই উপন্যাসটি জীবনের ক্রান্তিলগ্ন জুড়ে একটি অন্তহীন এবং অর্থপূর্ণ যাত্রা হিসেবে উন্মোচিত হয়, যা পাঠককে অস্তিত্বের গভীরতম সত্যের মুখোমুখি হতে বাধ্য করে।

লেখক সম্পর্কে:

শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৩৫ সালের ২ নভেম্বর ঢাকার (বর্তমানে বাংলাদেশে) বিক্রমপুরে । তার শৈশব কেটেছে বিভিন্ন স্থানে, তার বাবার রেলওয়েতে চাকরির কারণে, যা তাকে যাযাবর পরিবারে লালন-পালনের সুযোগ করে দিয়েছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, তার পরিবার কলকাতায় চলে আসে, তারপরে বিহার, উত্তরবঙ্গ, পূর্ববঙ্গ এবং আসামে স্থানান্তরিত হয়। এই প্রাথমিক অভিজ্ঞতাগুলি প্রায়শই তার লেখায় দেখা যায়।

তিনি কোচবিহারের ভিক্টোরিয়া কলেজে পড়াশোনা করেন, পরে কলকাতা থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পড়াশোনা করেন। প্রথমে তিনি সাংবাদিকতায় যোগদানের আগে স্কুল শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন এবং অবশেষে আনন্দবাজার পত্রিকার সাথে যুক্ত হন।

উল্লেখযোগ্য অর্জন:

• প্রথম প্রকাশিত গল্প: দেশ পত্রিকা
• প্রথম উপন্যাস: ঘুনপোকা
• প্রথম শিশুতোষ উপন্যাস : মনোজদার অনুভূতি বারী
• শিশুসাহিত্যে অবদানের জন্য ১৯৮৫ সালে বিদ্যাসাগর পুরস্কার
• আনন্দ পুরস্কার
• 1989 মানবজমিনের জন্য সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার

শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের সাহিত্যকর্ম প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে পাঠকদের মোহিত করে চলেছে, মানবিক আবেগ, অস্তিত্বগত দ্বিধা এবং আধ্যাত্মিক বিষয়গুলিকে অসাধারণ গভীরতার সাথে অন্বেষণ করে।