সাংস্কৃতিকি

• লেখক : সুনীতিকুমারী চট্টোপাধ্যায়
• প্রকাশক : আনন্দ পাবলিশার্স
• ভাষা : বাংলা
• ধরণ : প্রবন্ধ (প্রবন্ধ) - প্রবন্ধগুচ্ছ (প্রবন্ধ সংগ্রহ)
• সংস্করণ : হার্ডকভার
• আইএসবিএন : ৯৭৮৯৩৫০৪০৮৫৩৭
• পৃষ্ঠা : ৮৬৮
• ওজন : ১৩১৮ গ্রাম

বইয়ের বর্ণনা

সংস্কৃতিকি (অনুবাদ: সাংস্কৃতিক প্রবন্ধ ) হল কিংবদন্তি পণ্ডিত সুনীতিকুমারী চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধের একটি বিশাল সংগ্রহ, যাকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর "বাক্যচার্য" (ভাষার গুরু) হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। এই বিস্তৃত সংগ্রহটি একাধিক খণ্ডে বিস্তৃত, যা ভাষাবিজ্ঞান , সংস্কৃতি এবং ভারতীয় দর্শনের ক্ষেত্রে চট্টোপাধ্যায়ের গভীর দক্ষতার প্রতিফলন ঘটায়। প্রবন্ধগুলি তাঁর বিস্তৃত বৌদ্ধিক দিগন্ত এবং বর্তমান ও ভবিষ্যতকে বোঝার জন্য অতীতকে বোঝার প্রতি তাঁর বিশ্বাসকে তুলে ধরে।

• পর্ব ১ ও ২ : তাঁর জীবদ্দশায় প্রকাশিত এই খণ্ডগুলিতে চট্টোপাধ্যায়ের রামায়ণ , মহাভারত এবং সুফি দর্শনের মতো প্রাচীন গ্রন্থগুলির বিশ্লেষণ প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি এশিয়া জুড়ে সংস্কৃতের বিস্তার ও প্রভাব , ভারতীয় সঙ্গীত এবং ভারতীয় সংস্কৃতিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান নিয়েও আলোচনা করেছেন। এই প্রবন্ধগুলি প্রাচীন জ্ঞান এবং আধুনিক চাহিদার মধ্যে আন্তঃসম্পর্কের সাথে তাঁর গভীর সম্পৃক্ততা প্রদর্শন করে।

• খণ্ড ৩ ও ৪ : তাঁর মৃত্যুর পর, পরবর্তী খণ্ডগুলি প্রকাশিত হয়। তৃতীয় খণ্ডে, প্রবন্ধগুলি ভারতের সাংস্কৃতিক সংকটের উপর গভীরভাবে আলোকপাত করে, ভাষা সংকট , শিক্ষা সংকট এবং জাতীয় সংকটের মতো বিষয়গুলিকে স্পর্শ করে। চতুর্থ খণ্ডে বিশ্বব্যাপী সংস্কৃতির উপর আলোকপাত করা হয়েছে, যেখানে সক্রেটিস , সফোক্লিস এবং দারা শিকোহের মতো ব্যক্তিদের নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এমনকি এটি আফ্রিকান নিগ্রো শিল্পকলার উপর আলোচনাও প্রবর্তন করে, যা বাংলা সাহিত্যে প্রথম।

"সাংস্কৃতিকি" কেবল প্রবন্ধের সংকলন নয়; এটি সাংস্কৃতিক জ্ঞানের এক ভান্ডার , যা পাঠকদেরকে প্রাচীন সাংস্কৃতিক ধারণাগুলি কীভাবে সমসাময়িক চিন্তাভাবনার ফাঁকগুলি পূরণ করতে পারে সে সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। এই রচনাটি দর্শন, ভাষাতত্ত্ব, সঙ্গীত এবং শিল্পকে মিশ্রিত করে, বিশ্বব্যাপী সাংস্কৃতিক সচেতনতার গভীর অনুভূতি জাগিয়ে তোলে।

মূল হাইলাইটস :

• ভারতীয় ও বিশ্ব সংস্কৃতিতে গভীরভাবে ডুব : সংস্কৃতিকির প্রবন্ধগুলি ভারতীয় ও বিশ্ব সংস্কৃতি সম্পর্কে সুনীতিকুমারী চট্টোপাধ্যায়ের বিস্তৃত জ্ঞানের প্রতিফলন ঘটায়। এই সংগ্রহটি প্রাচীন গ্রন্থ, ভারতীয় ধ্রুপদী সঙ্গীত এবং বিশ্বব্যাপী দার্শনিক ঐতিহ্য সম্পর্কে আলোচনায় সমৃদ্ধ।
• দার্শনিক ও ভাষাগত অন্তর্দৃষ্টি : এই রচনাটি ভাষা ও সংস্কৃতির এক অনন্য ছেদ প্রদর্শন করে, যেখানে চট্টোপাধ্যায় সংস্কৃত , হিন্দু দর্শন এবং তুলনামূলক ভাষাতত্ত্ব অন্বেষণে তাঁর ভাষাগত দক্ষতা প্রয়োগ করেছেন।
• রবীন্দ্রনাথের প্রভাব : প্রবন্ধগুলি আধুনিক ভারতীয় সংস্কৃতির উপর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ধারণা এবং প্রভাবকে প্রতিফলিত করে, যা দেখায় যে প্রাচীন জ্ঞান এখনও সমসাময়িক সাংস্কৃতিক আলোচনার সাথে প্রাসঙ্গিক ।

লেখক সম্পর্কে :

• সুনীতিকুমারী চট্টোপাধ্যায় (১৮৯০-১৯৭৭) ভাষাতত্ত্ব , সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন এবং ভারতীয় দর্শনের ক্ষেত্রে একজন উচ্চাভিলাষী বুদ্ধিজীবী ছিলেন। তুলনামূলক ভাষাতত্ত্বে , বিশেষ করে সংস্কৃত , বাংলা এবং হিন্দিতে তাঁর দক্ষতার জন্য তিনি খ্যাতিমান ছিলেন। চট্টোপাধ্যায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বিশিষ্ট অধ্যাপক ছিলেন এবং ১৯৬৫ সাল থেকে ১৯৭৭ সালে তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত ভারতের মানবিক বিভাগের জাতীয় অধ্যাপক ছিলেন।
• তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনাগুলির মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত বই "অরিজিন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফ দ্য বেঙ্গলি ল্যাঙ্গুয়েজ" এবং ক্লাসিক "রবীন্দ্র-সঙ্গমে দীপ্ময় ভারত ও শ্যামদেশ" । তিনি সঙ্গীত , ভাস্কর্য এবং চিত্রকলা সহ ভারতীয় ধ্রুপদী শিল্পকলা সম্পর্কে গভীর জ্ঞানের জন্যও পরিচিত ছিলেন।
• চট্টোপাধ্যায় অসংখ্য প্রশংসায় ভূষিত হন, যার মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছ থেকে বাক্যচার্য (ভাষার গুরু) উপাধিও ছিল।

এর জন্য উপযুক্ত :

• সাংস্কৃতিক পণ্ডিত : ভারতীয় সংস্কৃতি এবং বিশ্বব্যাপী দার্শনিক ঐতিহ্যের গভীরতা অন্বেষণকারী পাঠকদের জন্য।
• ভাষাবিজ্ঞান ও দর্শনের শিক্ষার্থী : সংস্কৃত , তুলনামূলক ভাষাতত্ত্ব এবং দর্শন অধ্যয়নকারীদের জন্য আদর্শ।
• রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উৎসাহী ব্যক্তিরা : যারা সেই সময়ের অন্যান্য নেতৃস্থানীয় চিন্তাবিদদের দৃষ্টিকোণ থেকে রবীন্দ্রনাথের সাংস্কৃতিক প্রভাব অন্বেষণে আগ্রহী।