খেরোর খাতা
খেরোর খাতা is backordered and will ship as soon as it is back in stock.
Couldn't load pickup availability
Genuine Products Guarantee
Genuine Products Guarantee
We guarantee 100% genuine products, and if proven otherwise, we will compensate you with 10 times the product's cost.
Delivery and Shipping
Delivery and Shipping
Products are generally ready for dispatch within 1 day and typically reach you in 3 to 5 days.
Sign up to be the first to know when it's here
লেখক: লীলা মজুমদার
ধরণ: আত্মজীবনী - জীবনী - স্মৃতিকথা (আত্মজীবনী - জীবনী - স্মৃতিকথা)
বিন্যাস: হার্ডকভার
আইএসবিএন: ৯৭৮৯৩৫০৪০০৫১৭
পৃষ্ঠা: ২১৬
ওজন: ৪২৭ গ্রাম
বইয়ের বর্ণনা:
'খেরোর খাতা' ছবিতে লীলা মজুমদারের কলম তীক্ষ্ণ বুদ্ধি এবং অদম্য হাস্যরসের মাধ্যমে জীবন্ত হয়ে ওঠে। তার প্রতিটি কাজেই হাস্যরসের ঝলক থাকে, কিন্তু যখন তিনি রোমান্টিক ব্যঙ্গ লেখেন, তখন এর স্বাদ অত্যন্ত আনন্দদায়ক এবং অপ্রতিরোধ্যভাবে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। তার মজাদার লেখার এই সংগ্রহ পাঠকদের অবাক করবে এবং আনন্দিত করবে।
'খেরোর খাতা' পড়াটা লীলা মজুমদারের সাথেই কথোপকথনের মতো মনে হয়। এটি কেবল একটি বই নয় - এটি একটি ইন্টারেক্টিভ আড্ডা যা পাঠককে খাবার, প্রেম এবং সম্পর্ক থেকে শুরু করে ভূত, কুকুর, সাপ এবং চোর পর্যন্ত মনোরম পর্যবেক্ষণের এক অপ্রত্যাশিত যাত্রায় নিয়ে যায়। মজুমদারের গল্প বলার ধরণ প্রাণবন্ত বিবরণ, ব্যক্তিগত স্মৃতি এবং মনোরম উপাখ্যানে পরিপূর্ণ, যা আখ্যানটিকে মনোরম, চিন্তামুক্ত আড্ডার একটি সিরিজের মতো মনে করে।
বইটি স্মৃতির এক সুন্দর সমাহার— শান্ত শান্তিনিকেতন থেকে শুরু করে বোলপুরের ট্রেন ভ্রমণ, মনোমুগ্ধকর শৈশবের গল্প, এমনকি জীবনের অদ্ভুততা সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ চিন্তাভাবনা। তার রসবোধ প্রতিটি বিষয়ের মধ্য দিয়ে মিশে আছে, যা এই সংকলনটিকে ব্যতিক্রমী এবং কালজয়ী আকর্ষণ দিয়েছে। ব্যঙ্গাত্মক গদ্যের এই সংকলন নিঃসন্দেহে এই ধারার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান, যা নিশ্চিত করে যে 'খেরোর খাতা' সর্বদা সাহিত্যকর্মের একটি ধ্রুপদী সংযোজন হয়ে থাকবে।
লেখক জীবনী:
লীলা মজুমদার ১৯০৮ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারী কলকাতায় তাঁর কাকা, প্রখ্যাত লেখক উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা প্রমোদরঞ্জন রায় বনবিদ্যার একজন লেখক ছিলেন এবং ভারতীয় জরিপ বিভাগে কাজ করতেন। তাঁর শৈশবকাল শিলংয়ের পাহাড়ে কেটেছিল এবং পরে ১৯২০ সালে কলকাতায় চলে আসেন। মজুমদার ইংরেজিতে প্রথম শ্রেণীর সম্মান নিয়ে বিএ এবং এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি কিছুদিনের জন্য দার্জিলিং , শান্তিনিকেতন এবং কলকাতার আশুতোষ কলেজ সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেছিলেন। তবে, তিনি তার জীবনের বেশিরভাগ সময় একজন নিবেদিতপ্রাণ লেখক হিসেবে কাটিয়েছেন। তার প্রথম শিশুতোষ বই ছিল 'বদিনাথের বাড়ি' এবং তার প্রথম প্রাপ্তবয়স্ক উপন্যাস 'শ্রীমতি'ও অত্যন্ত সমাদৃত হয়েছিল।
মজুমদার সুপরিচিত বাংলা শিশুসাহিত্য পত্রিকা 'সোন্দেশ' -এর যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি রবীন্দ্র পুরস্কার , আনন্দ পুরস্কার , লীলা পুরস্কার এবং ভারতীয় শিশুসাহিত্য পুরস্কার সহ বেশ কয়েকটি মর্যাদাপূর্ণ পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। ৫ এপ্রিল, ২০০৭ সালে তিনি মারা যান, মনোমুগ্ধকর সাহিত্যের এক উত্তরাধিকার রেখে গেছেন যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে পাঠকদের মুগ্ধ করে।

