বাংলার তাঁতি ও তাঁতশিল্প

• লেখক : সুজিত দাস (সুজিত দাস)
• ধরণ : বিবিধা
• আইএসবিএন : ৯৭৮৯৩৫৪২৫৮৮৪৮
• পৃষ্ঠা : ২৭২
• প্রচ্ছদ : হার্ডকভার
• ওজন : ৫৩১ গ্রাম

সারাংশ :
বাংলার তাঁতি ও তাঁতশিল্প বাংলার তাঁত শিল্পের সমৃদ্ধ ইতিহাস অন্বেষণ করে, যা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। বইটিতে বিভিন্ন প্রতীকী বাঙালি শাড়ি ঐতিহ্য যেমন মসলিন , জামদানি , বালুচোরি , টাঙ্গাইল , ধনেখালী এবং বেগমপুরী তুলে ধরা হয়েছে, যা দীর্ঘকাল ধরে বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মূর্ত প্রতীক। বাঙালি তাঁত বুননের ইতিহাস এই শাড়িগুলির সাথে জড়িত, প্রতিটির নিজস্ব গল্প রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, মসলিনকে এই ঐতিহ্যের উৎপত্তিস্থল হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যেখানে জামদানি এবং বালুচোরি শাড়ি যথাক্রমে ঢাকা এবং মুর্শিদাবাদের ইতিহাসের সাথে জটিলভাবে জড়িত। বইটি এই অঞ্চলের ইতিহাসে টাঙ্গাইল শাড়ির অনন্য স্থানকেও তুলে ধরে।

এই আঞ্চলিক শাড়িগুলির বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে, বইটিতে বাংলার তাঁতিরা শিল্পে যে কারুশিল্প , কারিগরি এবং বৈচিত্র্য এনেছেন তা তুলে ধরা হয়েছে। এটি তাঁত উৎপাদন ব্যবস্থার বিবর্তন, এই কারিগরদের জীবনযাত্রার সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং ইতিহাস জুড়ে তাদের শিল্প কীভাবে বিকশিত হয়েছিল তা অন্বেষণ করে। লেখক এই তাঁতিদের জীবনযাত্রা , সামাজিক অবস্থান , ধর্মীয় অনুশীলন এবং এমনকি প্রবাদ , গান এবং ছড়ার মতো শিল্পের সাথে সম্পর্কিত লোককাহিনীও চিত্রিত করেছেন।

এই বিস্তৃত কাজটি তাদের শ্রম ও শৈল্পিকতার মাধ্যমে বাংলার সাংস্কৃতিক পরিচয় গঠনে বাঙালি তাঁতিদের ভূমিকা সম্পর্কে গভীর অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে।

লেখক সম্পর্কে :
সুজিত দাস ১৯৮০ সালে বেঙ্গল বাশি কলেজে অনুষদ সদস্য হিসেবে তার শিক্ষাজীবন শুরু করেন এবং পরে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর গবেষণা করেন, যেখানে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০০ সালে, তিনি নিউ আলিপুর কলেজের অধ্যক্ষ হন এবং ২০১৬ সালে তিনি এই পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। অবসর গ্রহণের পর থেকে, তিনি এশিয়াটিক সোসাইটিতে গবেষণা এবং প্রশাসনের সাথে জড়িত। পশ্চিমবঙ্গের বারোটি জেলার তাঁত শিল্পের উপর তার ক্ষেত্র জরিপের উপর ভিত্তি করে লেখা তাঁর বই, "দ্য ওয়ার্প অ্যান্ড উফ: অ্যান এনকোয়ারি ইনটু দ্য হ্যান্ডলুম ইন্ডাস্ট্রি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল" , একাডেমিক মহলে অত্যন্ত সমাদৃত এবং বাঙালি বয়ন ঐতিহ্যের অধ্যয়নে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান।